গত রবিবার স্থানীয় বিভিন্ন দৈনিক এবং অনলাইন নিউজে “ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনকে ‘ডি’ ক্লাশে ডিমোশন” শীর্ষক প্রকাশিক বিভ্রান্তিকর সংবাদে জনমনে তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির প্রেক্ষিতে, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার এক বিবৃতিতে প্রকাশিত সংবাদ শিরোনামটি সঠিক নয় এবং সরকারী নির্দেশনার ভুল ব্যাখা মর্মে দাবী করেন বলেন যে, বিগত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে হেফাজতের নেতাকমর্ীদের আকস্মিক হামলা ও অগ্নিসংযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনটি একটি ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছিল। বিশেষ করে রেলস্টেশনে স্থাপিত বিদেশী অত্যাধুনিক ও অতিমূল্যবান সিগন্যাল অপারেটিং ও কম্পিউটার সিস্টেমটি সন্ত্রাসীদের গান পাউডারের আগুনে ভূস্মিভূত হয়ে কেন্দ্রীয় রেল সিগন্যালের আওতা বর্হিভূত হয়ে সকল ট্রেনের স্টপিজ এবং যাত্রী উঠানামা স্থগিত হয়ে যায়।
এই অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেলের সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ রেলমন্ত্রী নিজে স্টেশনের ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন করেন এবং বিদেশী সিগন্যাল অপারেটিং এবং কম্পিউটার সিস্টেম পুনঃস্থাপন করে রেলস্টেশন সংস্কার পূর্বক পুনঃব্যবহার উপযোগী করতে প্রায় ছয়মাস সময় লাগতে পারে মর্মে ধারণা দিয়ে যথাসম্ভব দ্রুততম সময়ে চালু করার আশ্বাস প্রদান করেন। কিন্তু বিগত মাসাধিকাল যাবত করোনা ভাইরাস সংক্রামনজনিত লকাডাউনে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় জেলার হাজার হাজার যাত্রী সাধারণের চলাচলের তীব্র অসুবিধার কারণে স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন, সুশীলসমাজ, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন ও সভা সমাবেশে দ্রুত রেলস্টেশন চালু করার দাবীর প্রেক্ষিতে, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসনের সুপারিশে সরকার সিগন্যাল সিস্টেম পুনঃস্থাপন না হওয়া পর্যন্ত সময়কালের জন্য সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে ‘ডি-শ্রেণী ভুক্ত’ রেলস্টেশনের কার্যক্ষমতা সম্পন্ন ২ জোড়া আন্তঃনগরসহ ৫ জোড়া ট্রেনের স্টপিজ ও যাত্রা উঠানামার সুযোগ সৃষ্টির নির্দেশনা প্রদান করেছেন। যাহা রেলস্টেশন সংস্কারও সিগন্যাল সংযোগ পুনঃস্থাপন মাত্র পূর্বাবস্থায় ‘বি শ্রেণী’ ভুক্ত হয়ে যাবে। কাজেই ইহা নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানো বা সরকারের আন্তরিকতার বিরুদ্ধে অপ্রপ্রচারের কোন সুযোগ নেই। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
Leave a Reply